রবিউল হাসান ডব্লিউ, দশমিনা : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করায় পরিচালক ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর ঐ শিক্ষক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে ১৩জুন বিকেলে অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রের বাবা।
এর আগে গত ৫ জুন বুধবার উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দারুল কোরআান ওয়া সুন্নাহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা হাফেজ খানার(কওমী) শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও পরিচালক মুক্তি কাজী অওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়,উপজেলায় বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নে কোরআন হেফজ মাদ্রাসা দারুল কোরআন ওয়া সুন্নাহ মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি পরিচালক মুফতি অওয়ালিউল্লাহ। গত ৫ জুন বুধবার সকালে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ জোবায়ের ইসলাম ও ইব্রাহীম খেলাধুলা করতে ছিলো তখোন ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তাদের ডেকে নিয়ে শারীরিক ভাবে বেত্রাঘাত করেন। অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের হাপাতালে না নিয়ে নিজেরা চিকিৎসা করান। এই খবর জোবায়েরের পিতা জানতে পরে বেত্রাঘাতের কথা জানতে চাইলে তাকে ঐ শিক্ষক ও পরচালক মাদ্রসা থেকে বেরকরে দেয়। এবং এই ঘটনা কাউকে যেনো না বলে সে কারনে হুমকি দিয়ে থাকে।
আহত জোবায়ের ইসলাম জানান, আমি ও আমার বন্ধু ঐ মাদ্রাসায় কোরআন হেফজ শিক্ষার্থী। বুধবার আমরা দুই জন মাদ্রাসায় খেলা করছিলাম তখোন আমিনুল স্যার আমাদের ডেকে নিয়ে অনেক মারধর করে পরে পায়ে ও হাতে রশি দিয়ে বেঁধে মাটিতে শোয়াইয়া রাখে। দুই দিন পর আমার পিতা আমার সাথে দেখা করতে আসলে আমার পিতাকে এ বিষয়ে বলি। তখোন আমার পিতা স্যারকে জিজ্ঞাসা করলে আমার পিতাকেও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
জোবায়ের ইসলাম এর পিতা কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে ঐ মাদ্রসায় কোরআন শিক্ষার জন্য দিয়েছি। আমার ছোট ছেলেকে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম অমানুষিক বেত্রঘাত করেন। চিকিৎসা না করিয়ে দুইদিন বেঁধে রাখে। আমি আমার ছেলের কাছে শুনে আমি জানতে চাইলে আমাকেও ঐ শিক্ষক ও পরিচালক আমাকে অপমান আপদস্ত করে তারিয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন,আমার ছেলেকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর ঐ শিক্ষক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে ১৩ জুন বিকেলে অভিযোগ দাখিক করি। তিনি আরো বলেন পড়শুনার নামে ঐ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও পরিচালক মুক্তি কাজী অওয়ালিউল্লাহ আমার সন্তানকে অমানুষিক বেত্রাঘাত ও আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়ায় দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছি।
মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, ঐ ছাত্ররা ক্লাস ফাঁকিদিয়ে দুষ্টমি করছিলো শাসন করছি। পরিচালক মুক্তি কাজী অওয়ালিউল্লাহ বলেন মাদ্রাসা মাদ্রাসার নিয়মে চলবে কে কি বললো তা দেখার সাময় নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।