রবিউল হাসান ডব্লিউ, দশমিনা: ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” এ কবলিত দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ শতাধিক বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ করেছেন তরুণ সমাজসেবক মোঃ এনায়েত হোসাইন খাঁন।
গত রবিবার ১৬ মে বিকাল থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দশমিনা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে কয়েক শতাধিক পরিবার।
এমতাবস্থায় ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া ও বন্যায় কবলিত বিভিন্ন এলাকায়র অসহায় পরিবারগুলোর সকল বয়সী মানুষের মাঝে উপজেলার তরুণ সমাজসেবক ও দশমিনা মানব সেবা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসাইন খাঁনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মোমবাতি, খিচুড়ি ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সমাজসেবক এনায়েত হোসাইন খাঁনের সহধর্মিনী মোসাঃ ফাহিমা বেগম,কাজী নাজমুল ইসলাম, ছাত্রনেতা রাইসুল রাসেল,রাফসান সহ স্থানীয় অনেকে।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার হাবিব হাওলাদার বলেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে আমার পরিবার সদস্যদের নিয়ে দিশেহারা হয়েছিলাম। ঝড়ের ঐদিন থেকে বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে নদীর পারে আমার ঘরে থাকা সম্ভব হয়নি, পড়ে আমি রাস্তার পাশে একটি দোকানের ছাউনিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেই, প্রথম রাতে খাবার খেতে পারলেও পরের রাতে আমাদের খাবারের ছিলনা, হঠাৎ সোমবার রাতে আমাদের এলাকার এনায়েত খানের স্ত্রী খাবার নিয়ে আমাদের পাশে হাজির হয়েছিল, খাবার খেয়ে আমার ক্ষুধা নিবারণ করতে পেরেছি,আল্লাহর কাছে সর্বদা তাদের জন্য মঙ্গল কামনা করি।
মোঃএনায়েত হোসাইন খাঁন বলেন,আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ আর এই ক্ষুদ্র মানুষের সামান্য প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ও পানিবন্দী মানুষের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খিচুড়ি, মোমবাতি ও ঔষধ পৌঁছে দিয়েছি, ওই অসহায় মানুষগুলি যতদিন আশ্রয় কেন্দ্র থাকবে আমার এই প্রচেষ্টা ততদিন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।