পটুয়াখালীর পৌর কৃষক লীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পরে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আপত্তিকর ওই ভিডিও ঘিরে সমালোচিত ব্যাক্তি হলেন পৌর কৃষক লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পরলে নেতিবাচক মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন কমিটির নেতা কর্মীরা। ভিডিও প্রকাশের পরে তার নেতৃত্বগুন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উলঙ্গ অবস্থায় কৃষকলীগের ওই নেতা খালি রুমে ভিডিও কলে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত ছিলেন। তবে ওই কলে যুক্ত থাকা অপরব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ২৮ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এছাড়াও তার পরকীয়া আসক্তি এখন ওপেন সিক্রেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষক লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানায়, যেকোনো সংগঠনের নেতা হলো পথপ্রদর্শক। নেতা নির্বাচিত হন কর্মীদের ভালবাসায়। কিন্তু সম্প্রতি ( শহিদুল ইসলাম ) যে ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছেন এতে শুধু তিনি নন সংগঠন তথা কর্মীরাও বিতর্কিত হচ্ছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের দায়ভার জেলা কৃষক লীগ গ্রহণ করবে না। এ ঘটনার জন্য নিন্দা জানাচ্ছি।’
সমালোচিত ভিডিও ব্যাপারে পৌর কৃষক লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার একটা শত্রু পার্টি আছে। কিছুদিন আগে কমিটি নিয়ে ঝামেলা চলছিলো তখন কেউ ভিডিওটি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী আলী হোসেন বলেন, এর আগেও তার নামে অনেক কিছু শুনেছি। শহিদুল ইসলামের অনৈতিক কার্যকলাপে সংগঠন দায়বদ্ধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।